• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
বছরের শুরুতেই

তিস্তার সমস্যা সমাধানে মহা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে - উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম

তিস্তার সমস্যা সমাধানে মহা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে - উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নীলফামারী প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, তিস্তায় শুস্ক মৌসুমে পানির অভাব আর বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এসমস্যা নিরসনে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বছরের শুরু দিকে তিস্তার পানির যে সমস্যা সেটা কিভাবে নিরসন করা যায়, একটা দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান কি হতে পারে তার জন্য গণশুনানীর আয়োজন করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা শুনব, তিস্তার সমস্যাগুলো শুনে তার প্রেক্ষিতে মহা পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় উত্তরবঙ্গর প্রতি যে বৈষম্য হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার সেই বৈষম্য ঘোচাতে এবং সারাদেশে যে ভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে, ঠিক একই ভাবে যাতে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়ন কার্যক্রম হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এ অঞ্চল  অত্যন্ত উর্বর। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগামি একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় উৎপাদিত ফসলের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ উদ্বৃদ্ধ থাকে। এটা দিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণ হয়।

এ অঞ্চলে কৃষি ভিক্তিক শিল্পের বিস্তারে অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। উত্তরবঙ্গের স্থলবন্দরকে আরো শক্তিশালি করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সংস্কার। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময়  বাংলাদেশ প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টানকে ধ্বংস করা হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে যদি পুন:গঠন  না করা হয় তাহলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা  থেকে কখনও বের হতে পারব না। তাই আমরা এইসব সংস্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমি দেখেছি উন্নয়ন কার্যক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে এলাকা ভিক্তিক বৈষম্য হয়ে থাকে। এখন থেকে এলাকাভিক্তিক কোন বৈষম্য থাকবে না। যে অঞ্চল গুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা পূর্ণবন্ঠন করছি। উন্নয়ন যে সুষমভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে লক্ষে অন্তবর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার বিকেলে নীলফামারীর জলঢাকা  মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিনের সভাপতিত্বে  মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান, জেলা জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য ওবায়দুল্লাহ সালাফী,জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বায়ক আবু সাইদ নিওন, পৌর বিএনপির সেক্রেটারী মইনুল ইসলাম প্রমূখ। 

পরে উপদেষ্টা নীলফামারী সার্কিট হাউজে শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আর্কাইভ