প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৪, ১০:১৯ এএম
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট প্রাণ বাঁচাতে অনেক থানা শূন্য করে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। পরদিন থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্থন কর্মচারী সংগঠন। এতে সারাদেশের সব থানা পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। অনেকে আবার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন নিজেদের এলাকা। এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর চলেছে ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে করা হয়েছে মাইকিংও।
রাতে রাজধানী মোহাম্মাদপুর, বসিলা, ইসিবি চত্বর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ইসিবি চত্বর থেকে দুইজনকে আটকের পর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মোহাম্মাদপুরের লিংক রোডে অবস্থিত জাপান গার্ডেন সিটিতেও ডাকাত হানা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেখানকার একাধিক বাসিন্দা। তবে ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায় বলেও জানান তাঁরা।
মধ্যরাতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায়। এখানে রাতে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়। তবে ডাকাতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বসিলা এলাকায়ও একই অবস্থা। কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র আটকের ঘটনাও ঘটেছে ডাকাত আতঙ্কের এ রাতে।