প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ এখন উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে ফের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। রোববার দুপুরে প্রথমে মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে সেটা কার্যকর করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগেও।
মোবাইল ফোনে নেট বন্ধ করে দেওয়ার পর ব্রডব্যান্ড বা ওয়াই-ফাইয়েও এখন প্রবেশ করা যাচ্ছে না ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে। তবে সোমবার বেলা ২ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখন পর্যন্ত সচল আছে ইউটিউব।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচিতে সারা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে জায়গা ছেড়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কোথায় কোথায় পুলিশকে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করলে ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকারি একটি সংস্থা। এর খানিক পরই বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক ও হোয়াইটসঅ্যাপ।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ফের চালু করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। তবে এবার ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।