প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকা এই তিন সমন্বয়ককে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সারজিস আলম বলেন, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নাহিদ ইসলাম ও তার স্ত্রী, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদারকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
তার আগে বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে, নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পুলিশ। ওয়ার্ডের সামনে, হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।’
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘আমরা মানসিক ট্রমায় আছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বাজে অবস্থায় আছি। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে না দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বের হতে হবে। আমরা এখন উত্তরায় আছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রাত ১১টায় হোক আর যখন হোক আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে নেওয়াসহ সরকারকে চার দফা দাবিতে দুই দিন আগে দুই দফা ৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এদিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।
বিষয়টি জানতে নাহিদের বোন ফাতেমা তাসলিমকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ নাহিদ আর আসিফকে তুলে নিয়ে গেছে। তখন তারা দুজনই অসুস্থ ছিল। তুলে নেওয়ার সময় তারা দুজনই থরথর করে কাঁপছিল।