প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ১১:৩১ এএম
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রাজধানীতে গণপরিবহন কম চলাচল করলেও স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকাল ১০টায় সায়দাবাদ থেকে মানিকনগর হয়ে মালিবাগ রোডে অল্পকিছু বাস চোখে পড়েছে। মতিঝিল শাপলা চত্বরেও বাস কম থাকায় মেট্রোরেলের দিকেই ছুটতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিঝিল থেকে উত্তরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে ছেড়ে আসা মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম দেখা যায়।
আলিফ হাসান নামে এক ব্যাংকার জানান, তিনি থাকেন উত্তরায়। দিয়াবাড়ী থেকে কর্মস্থল ফার্মগেটে এসেছেন মেট্রোরেলে। আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল।
গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, “কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।”
কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে বলা হয় শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালকের কর্মসূচি সফল করুন।
কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণার পর জনমনে প্রশ্ন জাগে মেট্রোরেল চলাচল করবে কি না। এরপর রাতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সচিব আব্দুর রউফের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সময় সংবাদকে বলেন,
মেট্রোরেল নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। মেট্রোরেল ও যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেয়।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।