প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ মোড়, নীলক্ষেত, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় ও চানখারপুলে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রাজধানীর এসব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের চারদিক থেকে আসা কয়েক হাজার গাড়ি আটকা পড়েছে। ফলে রাজধানী জুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের যাত্রীরা।
রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়গুলো অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের কারণে তৈরি হওয়া যানজটে অচল হয়ে পড়েছে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাবসহ আশপাশের গোটা এলাকা। নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব অভিমুখী সড়ক, শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব অভিমুখী সড়ক, ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্সল্যাবমুখী সব সড়কেই তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। সবগুলো সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ব্যক্তিগত গাড়ি করে বাসায় ফিরছিলেন কল্পনা আক্তার নামে এক নারী সঙ্গে ছিল তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে। তিনি বলেন, এই জ্যাম ধানমন্ডি পর্যন্ত ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। দুপুর দুইটা থেকে রাস্তায় বসে আছি, এখন সাড়ে তিনটা বাজে।
মৌমিতা পরিবহনের এক বাসচালক বলেন, গাড়ি নিয়ে সায়েন্সল্যাব আসতে দেখি রাস্তা বন্ধ। এখানেই প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কখন ছাড়বে জানি না।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, কলাবাগান সাইন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তবে ধানমন্ডি থেকে গাবতলীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ফার্মগেট হয়ে গাজীপুরগামী এক বাসের চালক বলেন, গাড়ি নিয়া ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। পেছনে গাড়ির সারি। ঘুরিয়ে যে চলে যাব সেই সুযোগও নাই। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে অনেককেই বাস থেকে নেমে হেঁটে চলে যাচ্ছে।
ডিএমপির কারওয়ান বাজার জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে কোনো গাড়ি কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগের দিকে যেতে পারছে না। ফলে এ যানজট ফার্মগেট-তেজগাঁও ছাড়িয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত পৌঁছেছে। আজ সপ্তাহের প্রথম দিক সব অফিস আদালত খোলা থাকায় সড়কে গাড়ির চাপও বেশি।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সমাধান কী হবে কিংবা এই যানজট কখন শেষ হবে এ বিষয়ে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।