প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি যত না শক্তিশালী ছিল, আজকে তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না আওয়ামী লীগ। বলে না, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন, সেই দিন চলে এসেছে। আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে, হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার রেজিমকে পরাজিত করতে হবে।
তিনি শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। যতদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, ততদিন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, লুটপাট অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক হয়েছে, অনেক শুনেছি, অনেক দেখেছি। আর সইব না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে যারা জড়িত সবাইকে তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। যে ট্রাস্টের কথা বলা হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেননি। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে আসলে চারগুণ হয়েছে এখন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউলাহ বুলুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য সাথী উদয় কুসুম , দক্ষিণ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
আমির খসরু আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে। গুলি করে, গ্রেনেড মেরে জনসভা বন্ধ করলে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায় না। আর ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন করে কেউ যদি মনে করে, আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে অথবা বিএনপিকে নতুন করে শুরু করতে হবে, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি নতুন করে শুরু করার কিছু নেই। আন্দোলন চলমান আছে। আন্দোলনের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী সকাল-বিকাল কি ধরনের মন্তব্য করেন বুঝতে পারছেন না। কারণ ওরা জানে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ তাদের নির্বাচন বয়কট করেছে। পরে উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে। তারা জানে ওই নির্বাচন করে কোনো লাভ হয়নি। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সভা বন্ধ করে কোনো লাভ হয়নি। আবার সভা হবে, আবার মিছিল হবে, আবার লক্ষ জনতা একসঙ্গে হবে।