প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
রাজধানীতে পূর্ণ রূপে হাজির বর্ষা। আষাঢ়ের ১২ দিন পেরিয়েছে। এই সময় কয়েক দফা বৃষ্টি হলেও বুধবারের (২৬ জুন) চিত্রটা একটু আলাদাই। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শুরু হওয়া বর্ষণ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা সাড়ে ১২টায়ও থামেনি। আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টি আরও বাড়বে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, আজ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বর্ষণ হবে। ভোর থেকেই রাজধানীর আকাশ যেন সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছিল! সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে অফিস শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি।
এতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। সড়কে যানবাহন চলাচল কমে যায়। এই সুযোগে রিকশাভাড়া হয়ে যায় কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ভিজে গন্তব্যে যান, বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ। যারা বাসা থেকে হেঁটে বা মোটরসাইকেলে বের হন তারা মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েন।
পথচারী, ছিন্নমূল মানুষ অনেকে আশ্রয় নেন বিভিন্ন ভবনের আশপাশ, দোকানপাট এবং মেট্রোরেলের পিলারের নিচে।
শাহবাগে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আপাদমস্তক ভেজা অবস্থায় আশ্রয় নিতে দেখা যায় ছিন্নমূল এক ব্যক্তিকে। তিনি বলেন, আমার বিছানা-কাঁথা সব ভিজে গেছে। আকাশের যে অবস্থা তাতে তো মনে হচ্ছে, এই বৃষ্টি আজকে আর থামবে না।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, এই বৃষ্টি আজই থেমে যাবে।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সময় সংবাদকে জানান, এটা বর্ষার বৃষ্টি। আজই থেমে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এমন বৃষ্টি এখন মাঝেমধ্যেই হবে। এমনকি আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।`
এদিকে টানা বৃষ্টিতে এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া অলি-গলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অনেকেই জরুরি কাজেও বের হতে পারছেন না।
তবে সবকিছু উপেক্ষা করেই কিছু মানুষের দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্য হাফিজ। ছাতা মাথায় নিয়েই সিগন্যাল সামলাচ্ছেন তার মতো কর্মীরা।
তিনি জানান, ঝড়, বৃষ্টি কিংবা রোদ- রাস্তায় শৃঙ্খলা রাখতে কাজ করতে হয়। একটু সরে গেলেই সব গাড়ির জট লেগে যায়। সবসময় পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এজন্য অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেমের অভাবের কথাও জানান পুলিশের এ সদস্য।