• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নিম্নচাপটি রেমালে পরিণত

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ১০:০৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায়  ৩ থেকে ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এ পরিণত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে রেমাল। পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৮টি বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল সৃষ্টি হয়। পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তৌফিক নেওয়াজ কবীর বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ভোলা, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ