• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা সেলিম প্রধান নির্বাচন করতে পারবেন না

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ১১:২৮ এএম

ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা সেলিম প্রধান নির্বাচন করতে পারবেন না

আদালত প্রতিবেদক

ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে জরিমানা ও তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের সময় নষ্ট করায় আজ তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। পাশাপাশি রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে সোমবার (৬ মে) দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তার প্রার্থিতা ও প্রতীক বরাদ্দে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

 ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। সেলিম প্রধানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান। ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান। হাইকোর্ট সেলিম প্রধানের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২ মে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা ও প্রতীক বরাদ্দে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত। তার প্রার্থিতার বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৬মে দিন ধার্য ছিল।

জানা গেছে, দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব। তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূলহোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সেই সঙ্গে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা হয়। এসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে সেলিম প্রধান জামিনে রয়েছেন। একই সঙ্গে দুদকের এক মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল সেলিম প্রধানের সাজার রায় দিয়েছেন আদালত। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দুই ধারায় ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। যার সাজাভোগ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে এ সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত: তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ