প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মা শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ৬ হাজার নাগরিকের জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি, যার মূল লক্ষ্য শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের বিদ্যমান অপুষ্টি কমিয়ে আনা।
তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নেও আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী ও পুরুষের মধ্যে অসমতা দূরীকরণ, নারী শিক্ষার বিস্তার ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও আমাদের আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর হোটেলে ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ` শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এ সংলাপ আয়োজন করেছে। ৪৮টি দেশের প্রতিনিধি এ সংলাপে অংশগ্রহণ করছেন। স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ইউএনএফপিএ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই বৈশ্বিক সংলাপ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আমি ইউএনএফপিএ-এর নির্বাহী পরিচালককে সাধুবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন অর্জনে আপনাদের আগ্রহ ও প্রত্যয় আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর জনস্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরেই ১৯৭২ সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর দিক-নির্দেশনায় প্রণীত ১৯৭৩-১৯৭৮ মেয়াদের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জনসংখ্যার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল’ গঠন করেন যার সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার সাফল্য বঙ্গবন্ধুর দেখে যেতে পারেননি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাদখলকারী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলোর অপরিণামদর্শী নীতির কারণে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ সাফল্য দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করি নতুন ‘জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি’।কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আমাদের অনেক জনল্যাণমুখী কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ফলে জনসংখ্যা উন্নয়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় স্থবিরতা নেমে আসে।
২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সে কার্যক্রম ফের চালু করার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ফের সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা ICPD Program of Action-এর ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প পুনরায় চালু করি।
বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে Skilled Birth Attendance সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২শ ৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে, ২ হাজার ২শটি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।
মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় তার সরকারের অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শপিংমল, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৫ বছরের এ কর্মসূচিগুলো সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন, যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩শ ৭০ জন থেকে ১শ ৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত দেশ গঠনের ঘোষণা
২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত দেশ গঠনের ঘোষণা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে লন্ডন গার্লস সামিটে আমি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ আইন সংশোধন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের ফলে বাল্যবিবাহের হার বহুলাংশে কমেছে।
ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি’
বাল্যবিবাহ রোধ গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলেছি। এছাড়াও, সমাজের বিভিন্ন স্তরের কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে।
‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এক কোটি নারীকে তথ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্প লাইন ‘১০৯’ চালুর মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমরা প্রতিটি থানায় নারী পুলিশের দায়িত্বে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সাপোর্ট ডেস্ক স্থাপন করেছি।
বাল্যবিবাহ ও যৌতুক এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।
আমরা জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য বিষয়ক কৌশলপত্র (২০১৭-২০৩০) এবং এর বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১ হাজার ২শ ৫৩টি ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে আমরা দেশব্যাপী ‘স্কুল মিল’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।
মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছি।
২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৪শ ৬৪ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। উপরোন্তু, নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালু করেছি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।
আমরা জাতীয় বাজেটের মোট ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ রেখেছি। বেইজিং ঘোষণা ও কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও জাতীয় কর্মসূচি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের শ্রমশক্তির ৪২.৬ শতাংশ নারী, যা ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইসিটিখাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের Global Gender Gap Report-2023 অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের ১শ ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং এ অঞ্চলে প্রথম। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আগের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩৮.২৪ শতাংশ বেশি ছিল।
দেশের নাগরিকদের গড় আয়ু বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২.৩ বছর। বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশই কর্মক্ষম।
দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৯.২৯ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব বয়সী। প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি। এর পাশাপাশি আমরা অসহায় নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং সমাজের অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারিত করেছি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়াও, আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’ বাস্তবায়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি Smart Bangladesh গঠনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
Smart Bangladesh-এর জন্য আমরা চারটি পিলার নির্ধারণ করেছি: Smart Citizens, Smart Government, Smart Economy এবং Smart Society। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।