• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ড সফর: যুদ্ধ বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছি

প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

থাইল্যান্ড সফর: যুদ্ধ বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছি

থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে বিশ্বের সকল আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করেছি, সবাইকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর) দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য 

থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, একান্ত বৈঠকে শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দু‍‍`দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে, দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি Letter of Intent স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সেগুলো হলো-
ক) অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি
খ) জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক
গ) পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
ঘ) শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; এবং
ঙ) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি Letter of Intent।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।  আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসু অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ