প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
দেশের ২৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।
দেশের আটটি বিভাগের ওপর দিয়েই বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতিতে আরও তিন দিনের (বুধবার পর্যন্ত) হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, যশোরে ৪১ দশমিক ৬ ও কুমারখারীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ২৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। বাকিগুলোর ওপর নেই।
অঞ্চলভেদে দেশের বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রার এ তারতম্য কেন? বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই তথ্য।
কিছু এলাকায় ‘অতি’ উষ্ণতা: উষ্ণতম জেলা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে মাঝারি থেকে অতি তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তবে রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে উঠলেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।
শনিবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের পুরোটা জুড়েই চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজশাহীও এ তালিকায় আছে।
মূলত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বছরের এ সময়ে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বরাবরই অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের বেশিরভাগ স্থানেই মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে সূর্যের কিরণ বা রশ্মি লম্বালম্বিভাবে এসে পড়ে। অল্প কিছু এলাকায় বাঁকাভাবে পড়ে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিশেষ করে এপ্রিলে সূর্য বাংলাদেশের ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এসময় আকাশ মেঘমুক্ত থাকে।
আরও সহজ করে বলতে গেলে, এপ্রিল মাসে সূর্য থেকে দেশের অবস্থান অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে; যার কারণে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে এ অঞ্চলে।