• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু

সিটি নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব যত উষ্ণ হয়ে উঠছে, তার সঙ্গে বাড়ছে এডিস মশার উৎপাত।গরমের সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু, ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এরইমধ্যে তা বুঝতে পেরেছে বিশ্ব।  প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়তে থাকা গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে জনপদ। তীব্র গরমে যেখানে বাইরে বের হওয়া দায়, সেই মুহূর্তে সামনে এলো আতঙ্কের আরেক খবর। 

সংবাদমাধ্যম ইকোনমিস্ট বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন অন্তত ১০ কোটি মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুয়ায়ী, ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারান প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আর চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর চলতি বছর এরই মধ্যে ওই অঞ্চলে প্রায় ৬০ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ব্রাজিলে। ইকোনমিস্ট বলছে, শুধু লাতিন আমেরিকা নয়, বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। 

অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস এখনও সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও ২০০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করছে নগরায়নও। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আর্কাইভ