প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাবন্দি ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। মিয়ানমারের জাহাজ ‘চিন ডুইনে’ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান। একই জাহাজে নিজ দেশে ফিরবেন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৮ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অথবা প্রয়োজনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার নৌঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের আয়োজন করেছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন এমন ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে দেশটির সরকার আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করে। আজ দুপুরে কক্সবাজার জেটিঘাটে পৌঁছান তারা। কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জাহাজযোগে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আজ বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয় নেয়া সদস্যদের হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শতাধিক মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় এবং প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিয়েছে।