• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপি করি, কায়সার কামাল সরকারের এজেন্ট

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম

১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপি করি, কায়সার কামাল সরকারের এজেন্ট

মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল

আদালত প্রতিবেদক

১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপি করি। বিএনপি করছি, করব। পদ-পদবি কোনো বিষয় নয়। তবে কুলাঙ্গাররা শহিদ জিয়ার বিএনপিতে থাকুক, এটা আমি চাই না। 

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এসব কথা বলেছেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক হিসেবে উল্লেখ করে খোকন বলেন, তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী। নৈতিক স্খলনের কারণে আইনজীবী ফোরামে তার সদস্যপদ থাকা উচিত নয়। সরকারের এই এজেন্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। 

সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

নির্বাচনে জয়ী হয়ে বার সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ফোরামের মহাসচিব পদে রয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে কিভাবে বহিষ্কার করে? তার তো ক্ষমতাই নেই? যতক্ষণ পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। এটা আইনত কার্যকর নয়। আমি বিএনপি করছি, করব।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বার নির্বাচনে অংশ নেই। সেই নির্বাচনে আমরা ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হতাম; কিন্তু কায়সার কামাল তিনবার সরকারের প্যানেলের পক্ষে কাজ করায় আমরা সভাপতিসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছি। নির্বাচনের পর ভোট গণনা থেকে আমাদের এজেন্টদের কেন সরিয়ে নেওয়া হলো। এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া। অর্থাৎ বার নির্বাচনে সরকারকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন কায়সার কামাল। এ ষড়যন্ত্রের মূলে ছিল ভোট গণনার সময় এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়া। যদি এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়া না হতো তাহলে আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম। 

বার সভাপতি বলেন, তারেক রহমান আমাদের প্যানেল ঘোষণা করেছেন। বিএনপির পার্টি অফিসে সবার উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তারেক রহমান তো বলেননি তোমরা ভোট গণনায় যেও না, সভাপতির দায়িত্ব নিও না। তাহলে দায়িত্ব নিও না- এ কথা বলার কায়সার কামাল কে? যদি আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম তাহলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন শক্তিশালী করতে পারতাম। কার সঙ্গে আঁতাত করে কায়সার কামাল সরকারকে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী করার পেছনে কাজ করছিল। 

তিনি বলেন, বার নির্বাচনে আমরা সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি; কিন্তু কায়সার কামালের ষড়যন্ত্রের কারণে সেই যুদ্ধে পুরোপুরি জয়ী হতে পারিনি। তিনি নির্বাচনের সময় উপস্থিত না থেকে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারেক রহমানের ঘোষিত প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

আর্কাইভ