প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১১:৫১ পিএম
ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে একই পরিবার ৬ জন রয়েছে।
তারা হলেন: হাসিবুর রহমান (৩২), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭), সাড়ে চার বছরের মেয়ে তাকিয়া, আট মাসের ছেলে তাহমিদ, সদ্য বিবাহিত ইমরান (২৬) ও তার স্ত্রী নিপা (২২)। এ দম্পতি নিহত নাহিদার ছোট বোন-ভগ্নিপতি। এক মাস আগেই তাদের বিয়ে হয়।
নিপার বড় বোন তরিকা আক্তার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দুই বোনোর মরদেহের পাশে এসে বিলাপ করতে করতে বলেন, ওরে নাহিদা-ওরে নিপা তোদের ছাড়া আমি কেমনে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, ছোট বোন নিপার একমাস আগে বিয়ে হয়েছে। ওর হাতের মেহেদি এখন পর্যন্ত মুছে নাই। দুপুর দেড়টার দিকে সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে প্রাইভেট কারে করে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলেও জানান তিনি। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিমও মারা যান। তিনি একই উপজেলার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও ৩টি অটোরিকশার ওপর উঠিয়ে দিয়ে নিজে খাদে পড়ে যায়। এতে নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হন। ট্রাকটির চালক ও তার সহকারীকে বিকেলে আটক করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলেই ৮ জনকে নিহত দেখতে পাই এবং ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আনার পরে আরও ৬ জন মারা যান। মোট ১৪ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১০ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের জন্য মোট ৫ লাখ এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রুহুল আমীনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।