প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
ব্যাংককে একীভূত করে ব্যাংক সেক্টরে ভালো ফল আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবার একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি ভালো
সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করে ব্যাংক সেক্টরে ভালো ফল আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবার একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি ভালো ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে সিটি ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের আলোচনা হচ্ছে। একীভূত হওয়া নিয়েও অনেকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে; চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানাব।
গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একিভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে৷
বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়টি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন নিশ্চিত না করলেও তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত একত্রীকরণ নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের নীতি সহায়তা বাধ্যতামূলক একত্রীকরণ থেকে অনেক বেশি, তাই সবল ব্যাংক হিসেবে কোন দুর্বল ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা যায়, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সিটি নিজেই ২০০৭ সালে একটা প্রবলেম ব্যাংক ছিল। আজ আমরা দেশ সেরা স্থানীয় ব্যাংক। আমরা ব্যাংক পুনর্গঠনে অভিজ্ঞ। ব্যালান্স শিট একত্রীকরণে তিন বছর সময় পাওয়া যাবে। এ তিনটা বছর ভালোভাবে কাটলে আমি আশাবাদী, সময় আরও বাড়বে। আমরা যেন আরও সবল ও বড় ব্যাংক হয়ে উঠি এবং আর্থিক খাতের সংকটেও পাশে দাঁড়াতে পারি, এমন অবস্থান থেকেই ব্যাংক পুনর্গঠনে দক্ষ হিসেবে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে আমাদের বিশ্লেষণ চলছে-এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
জানা যায়, মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক পাঁচটি আর বেসরকারি ব্যাংক তিনটি। গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করেছে পদ্মা ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংক একীভূত করার ধারা শুরু হয়। এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।