প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বিডিএস বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ প্রকল্প পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকে ব্রিফিং নেওয়ার পর ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে এ কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না।
ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।’ তিনি এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
সভায় আরো অবহিত করা হয় যে, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব শিগগির-ই আরেকটি প্রকল্পের রিভিও শেষ হলে দেশের আরো পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলাতেও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে।
পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ পরিচালনা করা হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ জরিপ ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে তিন হাজারের বেশি জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের ফলে ভূমি খাতের সেটেলমেন্ট ও জরিপ বিভাগে দক্ষ জনবল তৈরি সম্ভব হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে আরো ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। সভায় জানানো হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ইতিমধ্যে ১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। ইতিমধ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৪৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, আরো পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।