প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১১:২৫ এএম
২০২৩ সালের বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচক প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনোমিস্ট সাময়িকীর ইকোনোমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ছাড়াও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বুধবার এই সূচক প্রকাশ করেছে ইআইইউ। যেখানে আগেরবারের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ৫ দশমিক ৮৭ স্কোর নিয়ে ৭৫তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে একই সূচকে মিশ্র গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৯৯। তারও আগে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচক ২০১৯-এ ৫ দশমিক ৫৭ স্কোর নিয়ে ৮৮তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
ইআইইউর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচকে ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ইউরোপের দেশটি গতবারও শীর্ষে ছিল। এরপর যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬১ স্কোর ও ৯ দশমিক ৪৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় নম্বরে আছে নিউজিল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ড।
২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচক প্রকাশ করে আসছে ইআইইউ। এর মধ্যে ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ দশমিক ১১। পরের বছর (২০০৭) ৫ দশমিক ৫২ এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৭। এরপর টানা তিন বছর বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর একই ছিল, ৫ দশমিক ৮৬।
নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচক তৈরি করা হয়। যেখানে দেশগুলোকে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসন- এই চার শ্রেণিতে বিবেচনা করা হয়। ১০ এর মধ্যে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে পূর্ণ গণতন্ত্র, ৬ থেকে ৮ হলে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, ৪ থেকে ৬ হলে মিশ্র গণতন্ত্র এবং ৪ এর নিচে হলে সে দেশে স্বৈরশাসন জারি রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়।