প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজ পূর্ব পাড়ে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে তিন দিনের ইজতেমা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়।
মোনাজাত পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘নামাজ-রোজা যেমন ইবাদত তেমনি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করাও ইবাদত। ভোট মানে সাক্ষী দেয়া, সমর্থন করা। তাই বুঝে শুনে সেই সমর্থন দেয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হতে হলে আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লি, সাংবাদিক, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য ও এলাকাবাসীসহ নিপীড়িত বিশ্বের মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে আসেন তারা। তিনদিন ইজতেমা ময়দানে থাকার পর রোববার সকালে আখেরি মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো।
ইজতেমার সদস্য সচিব মাওলানা আব্দুল মোমিন বলেন, তিনদিন ব্যাপী বয়ানে পেশ করেছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, পীর সাহেব খুলনা, নব মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করীম, মোসলেহ উদ্দীন আজাদী, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
সাজেদ/