প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। নতুন এই সরকারকে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ স্বীকৃতি দিলেও এখনো যুক্তরাষ্ট্র নানা অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
তবে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ ও সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এর পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়। তার উপস্থিতিই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি বলে দাবি করছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে টকশোর আয়োজন করা হয়।
সেখানে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
টকশোর একপর্যায়ে বিচারপতি মানিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখনো যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা?
জবাবে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন নতুন সরকারের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার মধ্যে বলা যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যিনি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নিয়ে খুব লাফালাফি করছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এখন তার মুখ বন্ধ হয়েছে। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন। এটিই বলে দিচ্ছে মন্ত্রিসভাকে স্বীকৃতি। তা ছাড়া নতুন সরকারের সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদেও তিনি গেছেন। স্বীকৃতি না দিলে তিনি যেতেন না। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে যাচ্ছে— বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে।
সাবেক এই বিচারপতি মনে করেন, বিএনপি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল। সেটা সফল করতে পারেনি। তাদের ব্যর্থতা।
এর আগে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অতিথি হিসেবে যোগ দেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। এর মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও যোগ দিয়েছিলেন।