• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

সাগর-রুনি হত্যা মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

সাগর-রুনি হত্যা মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে তদন্তে প্রয়োজনে ৫০ বছর সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জোর করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ানো ঠিক হবে না।

বহুল আলোচিত সাগর-রুনির হত্যার বিচার কেন হচ্ছে না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন, আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়ানো ঠিক?’

‘তাদের তদন্তে যতদিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে, তাদেরকে ততটুকু সময় দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে’, বলেন আইনমন্ত্রী।

তাহলে কি আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করব? সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ম নয়, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর বিচার তড়িৎ হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছেন না, অবশ্যই তাদেরকে সময় দিতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে এ পর্যন্ত ১০৫ বার ব্যর্থ হয়েছে র‌্যাব। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন দিতে পারেনি র‌্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।

আর্কাইভ