প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ ইজতেমা ময়দানের ক্ষতিসাধন করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির প্রথমপক্ষের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পক্ষের একটা জোরালো অভিযোগ রয়েছে যে, প্রথমপর্বের ইজতেমা শেষে ইচ্ছাকৃতভাবে টয়লেটসহ ময়দানের অনেক কিছু প্রথমপক্ষ নষ্ট করে দিয়ে যায়। একজন মুসলমান হিসেবে এসব করা মোটেই উচিত না। এ বিষয়গুলো নিয়ে আগেও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম পক্ষের ইজতেমা শেষে দ্বিতীয়পক্ষের কাছে মাঠ হস্তান্তরের সময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃংলা বাহিনীর যেসব সদস্য থাকবেন তারা বিষয়টি মনিটরিং করবেন। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সকালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানকে কেন্দ্র করে এবার নাশকতার কোনো হুমকি নেই। তবে একটা বিষয় জানতে পেরেছি গতবছর বিদেশি মেহমানদের নিয়ে বিমানবন্দরে টানা হেঁচড়া করা হয়েছে। যা দেশের জন্য লজ্জাজনক ও ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ফোর্সেস প্রস্তুত রয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে র্যাবের পক্ষ থেকে র্যাবের স্পেশাল টিম, ফুট পেট্রোল, সাদা পোশাকে নজরদারি, মোটর সাইকেল পেট্রোল, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, হেলিকপ্টার পেট্রোল, পিকআপ পেট্রোল, তুরাগ নদে স্পীডবোর্ড পেট্রোলসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে।
র্যাব প্রধান বলেন, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে টঙ্গীতে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। এতে চুরি, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, মাদকাসক্ত, উচ্ছশৃংখলতা ও পকেটমারদের দৌরাত্ব রোধে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ রানা, মিডিয়া উইং-এর পরিচালক খন্দকার আল মঈন, নোমান আহমেদ, তারেকুল ইসলাম ও প্রথমপর্বের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। তা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। পরে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা।