• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তানিয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তানিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর হাজারীবাগে তানিয়া আক্তার (৩৫) হত্যাকাণ্ডে বাড়ির মালিক শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা গেছে, তানিয়া ও বাড়ির মালিক শাহিনের মধ্যে অনেক আগে থেকেই একটা সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের আগে তানিয়ার সঙ্গে মোট আটবার ফোনে কথা হয় শাহিনের। প্রতিবারই ১০ থেকে ১৫ মিনিট কথা বলেন তিনি। তাই হত্যাকাণ্ডে শাহিন জড়িত থাকতে পারেন।

তানিয়ার সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্কও ভালো ছিল না। তিনি আলাদা থাকতেন। তদন্তে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তানিয়া তার বাসায় সর্বশেষ একাই ঢুকেছিলেন। ফলে হত্যাকারী হিসেবে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন শাহিন।

গত রোববার দুপুরে হাজারীবাগ ১৭/১ মিতালি রোডের বাসার সপ্তমতলার কক্ষের ভেতরের বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এ ঘটনায় সোমবার তানিয়ার ভাই তন্ময় হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এদিকে তানিয়ার মামা আলমগীর হোসেন বলেন, বাড়ির মালিক শাহিন নিহত তানিয়ার পূর্ব পরিচিত। গেল সংসদ নির্বাচনে তারা একসঙ্গে নৌকার প্রার্থীর প্রচারণা চালিয়েছেন। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। পরে শাহিনের বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এক রুমে ভাড়া ছাড়াই তানিয়াকে থাকতে দেন।

তানিয়ার পাশের রুমে আরেক নারী সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন। তিনিও হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছু বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন। গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাশের রুমের লোক কিছু না জানাও সন্দেহের চোখে দেখছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, হত্যার পর রুম লক করে চলে গেছে খুনি। যাওয়ার সময় তার (তানিয়া) ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু আমরা পেয়েছি। আশা করি, খুব দ্রুত আসামিকে ধরতে পারব।

তিনি আরও বলেন, তানিয়ার স্বামী কুমিল্লায় চাকরি করেন, তিনি সেখানেই থাকেন। হাজারীবাগের ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া ব্যবসায়িক কোনো কার্যক্রম বা কারো সঙ্গে সম্পর্কজনিত কারণে খুন হয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না বলে জানা গেছে। 

আর্কাইভ