প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া হবে। তারপর অধিক মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হবে। যারা মজুতদারি করে তারা হারাম কাজ করে, এটা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ ও হারাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ-সদস্য। তিনি ১৯৯১ থেকে টানা সাতবার এ আসনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যাপারে কোনো ভয় নেই। ইনশাআল্লাহ আমরা খুব তাড়াতাড়ি সিন্ডিকেট ভেঙে দেব। আমরা জানি কারা দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে, এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় অনেক বড় মন্ত্রণালয়, গ্রামে-গঞ্জে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে এই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রয়েছেন। তাই কৃষকরা যে কোনো সময় আমাদের কাছে আসতে পারেন। আমাদের দুয়ার কৃষকদের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। আপনারা মনে করতে পারেন আমি এখন মন্ত্রী হয়েছি হয়তো আপনারা দূরে সরে যেতে পারেন, কিন্তু আমাকে আপনারা সেই আগের আব্দুস শহীদই মনে করবেন।
ড. আব্দুস শহীদ বলেন, দেশের কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাব। আমাদের জিডিবির শতকরা ৮০ ভাগ এই কৃষি খাত থেকেই আসে। আমাদের সবাইকে কৃষি উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়ন ছাড়া এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে যেসব উপকরণ প্রয়োজন আমরা সঠিক সময়ে তা দিয়ে যাব। এতে কোনো কার্পণ্য করা হবে না। যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিই পাবেন কৃষকরা।
জেলা পরিষদ মাঠে সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব। এ সময় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বক্তব্য দেন।
এর আগে মন্ত্রীকে শ্রীমঙ্গলের প্রবেশমুখ মুচাই থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার লোক মোটরসাইকেল ও গাড়ির শোভাযাত্রা দিয়ে শহরে নিয়ে আসেন।