প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির পর্যবেক্ষণে যা উঠে এসেছে, প্রকৃত সত্য তার চেয়েও ভয়াবহ বলে মনে করছে বিএনপি।
টিআইবির বক্তব্যের বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একেবারে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে সরকার। এ নির্বাচন যে পাতানো ছিল, তা বিএনপিসহ বিরোধীরা আগে থেকে বলে আসছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা, অর্থাৎ ‘আমি আর মামু’র নির্বাচন করেছে। জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভোট বর্জন করেছে। তারমধ্যেও প্রকাশ্যে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের অশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং টিআইবি যা বলেছে তা খুব ভদ্র ভাষায় বলেছে। তাদের পর্যবেক্ষণে যা এসেছে, প্রকৃত সত্য হলো তার চেয়েও খারাপ ও ভয়াবহ।
বুধবার ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে টিআইবি। এতে নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন টিআইবি। সেখানে সংস্থাটি বলেছে, এবারের সংসদ নির্বাচন ছিল একপাক্ষিক ও পাতানো। এতে পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, টিআইবির পর্যবেক্ষণে পুরো চিত্র আসেনি। এ রকম ভোটারবিহীন এবং অনিয়ম ও ডাকাতির নির্বাচন দেশের জনগণের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বিশ্বও কখনো দেখেনি। সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ নির্বাচন যেভাবে দেখেছে, উপলব্ধি করেছে টিআইবির রিপোর্ট তারই প্রতিফলন। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অধিকাংশ বরেণ্য ব্যক্তি শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। এটা যে একতরফা নির্বাচন হচ্ছে এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট বর্জনের কর্মসূচি সঠিক ছিল। জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভোট বর্জন করেছে। জনগণ যা ভেবেছিল ভোটে জালিয়াতে হতে পারে তাই-ই হয়েছে। টিআইবির রিপোর্টে সত্যটাই এসেছে।
রিজভী আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কি হয়েছে জনগণ সব দেখেছে, সব জানে। টিআইবির রিপোর্টে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে। সরকারের সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের ঘন অন্ধকার ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে পাতানো ভোট ও ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ পেয়েছে। তাই সরকারের মন্ত্রীরা মুখ লুকাতে পারছেন না। এজন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ নেই।