প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ডাকনাম কমল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। আজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এছাড়া জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দলের অঙ্গ-সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সারা দেশে একই কর্মসূচি করবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।
এছাড়া ড্যাব আগামীকাল (শনিবার) রাতে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা করবে।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীতে শোভাযাত্রা করবে ছাত্রদল। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা করার কথা রয়েছে।
বুধবার র্যালির অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে ছাত্রদল। সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে শোভাযাত্রার অনুমতি ছাড়াও যথাযথ নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) শোভাযাত্রার অনুমতি পায়নি সংগঠনটি। তবে দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শোভাযাত্রার জন্য সব প্রস্তুতি তারা নিয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারি হয়ে শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন এবং যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হয় ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।
রিজভী বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অপরাজনীতি দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে স্বাধীনতা-উত্তর ক্ষমতাসীন মহল যখন মানুষের বাক, ব্যক্তিস্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়েছিল, দেশকে ঠেলে দিয়েছিল দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্ত হতে হয়, জাতির এ রকম এক চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহিদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। শহিদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্তার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগোলিক জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় দান করে।