প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
মাঘের হাড় কাঁপানো শীত, দৃষ্টি সীমিত করা ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বাড়িয়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভোগান্তি।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, চুয়াড়াঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে ২২ মিলিমিটার এবং চুয়াডাঙ্গায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নওগাঁসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আরও দু-একদিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও কোথাও মানা হয়েছে, কোথাও হয়নি। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কয়েকটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল।
দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। তবে দুপুর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড়ে স্কুল বন্ধের ঘোষণা আসে বেলা ১১টায়। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে চলে আসে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নামায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার ক্লাস হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাধ্যমিক স্তরের স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন খোলা ছিল। চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও ক্লাস হয়েছে প্রাথমিকে। বরিশালেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। প্রচণ্ড শীতের ভেতর শিশু ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসেছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, কুয়াশার কারণেই অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে। সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এতে দিনের তাপমাত্রা কমছে। কমছে রাতের তাপমাত্রাও। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লে কুয়াশা কেটে যেতে পারে। কুয়াশা কেটে গেলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, উত্তর পশ্চিমের বাতাসের কারণে দেশের কোথাও কোথাও বেশি ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ শতাংশের নিচে থাকলে তীব্র শীত অনুভ‚ত হয়। উত্তরাঞ্চলসহ কিছু এলাকার দিন ও রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে।
রাজশাহী : হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে ৬টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় শূন্য দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দিনমজুর শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে রোদ ওঠে না। ঠান্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকলে মুখে খাবার জুটবে না। তাই বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মাসের শেষদিকে আবার শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
দিনাজপুর : দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও তীব্র শীত উপেক্ষা করে দিনাজপুরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার শ্রেণি কার্যক্রম চলেছে যথারীতি। যদিও তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। দুপুর থেকে বন্ধ রাখা হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নামলেও বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে দিনাজপুর শহরের ইকবাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা সুলতানা বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার কোনো চিঠি আমরা পাইনি। তাই বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম দুপুর ১২টায় বলেন, আমরা সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বিষয়টি জানার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। তবে সকালে প্রথম শিফটের শিক্ষার্থীরা চলে আসায় প্রথম শিফটের শ্রেণি কার্যক্রম চলেছে। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম : তাপমাত্রার পারদ ৯ ডিগ্রিতে নেমে আসায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বেলগাছা ইউনিয়নের সোলেমন মিয়া বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) অনেক কুয়াশা পড়ছে। চারদিক ঢেকে গেছে। একই এলাকার কৃষি শ্রমিক আলমগীর হোসেন বলেন, কিছুদিন ধরে খুব ঠান্ডা। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ করাই লাগে আমাদের। না হলে পেটে ভাত জোটে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) : জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে বন্ধ ঘোষণার পরেও চিলমারীতে চলছিল বিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার জেলার তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি বিরাজ করায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিস জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে নিজ নিজ উপজেলা দপ্তরে চিঠি দেয়।
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : নাগেশ্বরীতে সব মাধ্যমিক স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্দেশনা জারি করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে একটি পত্র দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ বন্ধ কার্যকর থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো খোলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার তাপমাত্রা ১৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি ওঠানামা করে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, মাউশির নির্দেশনা মোতাবেক তীব্র শীতের কারণে উপজেলার ২৫টি মাদ্রাসা ও ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাময়িক পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
পঞ্চগড় : বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় জেলার বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল ৮টায় মাধ্যমিক এবং সকাল ৯টায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় এসে পাঠদানে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুধু শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুজ জামান। এই চিঠির খবর বিদ্যালয়গুলোয় পৌঁছায় বেলা ১১টায়। তবে তিনি রোববারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি।
যশোর : বৃহস্পতিবার ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভোরে শুরু হয়ে এই বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত পড়ে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছেন জেলার ছিন্নমূল মানুষগুলো। যশোরে রেলস্টেশন ও ফুটপাতগুলোতে ছিন্নমূল মানুষকে কম্বল মুড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান, ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে ৫৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৭৫ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার। তবে এর উলটোচিত্র প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। নির্দেশনা থাকলেও আগের নিয়মেই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই নেই। বৃহস্পতিবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, উপপরিচালক ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার পুনরায় খুলবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। নির্দেশনা পাওয়া গেলে তা পালন করা হবে।
বরিশাল : বরিশালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে স্কুল খোলা রেখেছে প্রাইমারি ও কিন্ডারগার্টেনগুলো। ফলে তীব্র শীত আর বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা শিশুদের। এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। প্রাইমারি প্রধান শিক্ষকদের দাবি, কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় তারা স্কুল খোলা রেখেছেন।
বরিশালে বুধবার ৯.৭ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা থাকলেও স্কুল খোলা থাকায় জেলা প্রশসন অসন্তোষ প্রকাশ করে। এরপর রাত পর্যন্ত সভা করে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সকাল থেকেই জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। জানা গেছে, জেলা শিক্ষা অফিসার নিজে সকালে কয়েকটি স্কুলে ছুটে যান। স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা সকাল ১০টার পরপরই প্রমাণিত হয়। ১০টার পরই বৃষ্টি শুরু হয়।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেনগুলো খোলা রয়েছে। ফলে শিশুরা এ আবহাওয়ায় স্কুলে রয়েছে। অনেক অভিভাবক স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করছেন। নগরীর এ কাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৎস্য শ্রমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে শিশুরা স্কুলে ক্লাস করছে। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। এক শিক্ষক জানান, প্রাইমারি শিক্ষা অফিস থেকে তারা বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাননি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। এ সময় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা : সকাল ৯টায় বৃষ্টি শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বৃষ্টি। খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, সকাল থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ৩টার পর অনুমানিক এক মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকবে। শনিবার থেকে আরও বেশি শীত অনুভূত হবে।
কয়রা (খুলনা) : গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হাড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশায় কাঁপছে উপক‚লীয় জনপদ সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রার মানুষ। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে এটি আরও ২/৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় উপজেলা নিকলীতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।