প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এটা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এটা লজ্জার। যতই মামলা-হামলা, জেল-জুলুম করুন কোনো লাভ হবে না। যত কলাকৌশল করুক না কেন এরকম ভুয়া পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ অবশ্যই তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করবেই।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে এক মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের অবৈধভাবে শপথ করিয়ে নিয়েছে। অতীতেও এই আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে, সব সংবাদপত্র বন্ধ করেছে। ভোটবিহীন সরকার বারবার ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে ২২শ পরিবারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলাম; এখন আওয়ামী লীগ ২ লাখ পরিবার সৃষ্টি করেছে। গরিবের টাকা লুট করে বেগমপাড়া বানিয়েছে। তরল মানির অভাব ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে খুব দ্রোহ অবস্থা বিরাজ করছে। অনেকেই বলে আমাদের আন্দোলন সফল হয়নি। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা হরতাল-অবরোধে ডাক দিয়েছিলাম, কিন্তু আওয়ামী লীগ বাস পুড়িয়ে-রেললাইন উপড়িয়ে ফেলেছে। রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে ৭ তারিখে নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি, তারা সেই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অথচ তারা নিজেরাই দাবি করে তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক। তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক হলে বাংলাদেশের এ করুণ অবস্থা কেন? কেন মৃত ব্যক্তির ভোট দিতে হয়? কেন দিনের ভোট রাতে হয়? কেন ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়?
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়কসহ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের ওবায়দুর রহমান টিপু, সাহাদাত হোসেন বিপ্লব, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দলের সেলিম মিয়া, জাসাসের আরিফুর রহমান প্রমুখ।