প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পণ্যমূল্য নিয়ে মানুষ যে কষ্টে আছে, সেটি অজানা নয়। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আগামী মার্চে শুরু হওয়া রোজাকে সামনে রেখে যা যা দরকার, তার সব এখনই কিনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
সোমবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় এসব কথা বলেন দলীয় সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, এখনকার মানুষের সবচেয়ে কষ্টের জিনিস হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। হ্যাঁ, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আমরা এটা অনেক কমিয়ে এনেছি। কিছু কিছু মহল আছে যারা চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, এটাও সত্যি, আগে এত ক্রয় ক্ষমতা ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি যাতে আরও কমানো যায়, সেই জন্য সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেবে। যদিও আমাদের উৎপাদন অনেক বেশি, খাদ্য উৎপাদন আমাদের কোনো সমস্যা নেই, তার পরেও সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে অর্থনৈতিক মন্দা, সেখানে আমরা তার থেকে দূরে না। আমি সব সময় এটাই আহ্বান করেছি যেন এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদী না থাকে, আমাদের খাদ্যের যেন অভাব না হয়।
তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে, রপ্তানির ক্ষেত্র বহুমুখী করতে হবে। পাট, চামড়াসহ আমাদের যে সমস্ত পণ্য আছে, এর জন্য বাজার খোঁজা, জনসাধারণকে ট্রেইনিং দিয়ে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা… বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করতে চাই।
স্বল্প আয়ের মানুষদের কষ্ট লাঘব করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা টিসিবি কর্তৃক পারিবারিক কার্ড করে দিচ্ছি, যাতে কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে, অর্থাৎ মানুষের যাতে কষ্ট না হয়।
তিনি বলেন, সামনে রোজা, রোজার জন্য যা দরকার সবই আমরা আগাম ক্রয় করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আর আমরা সব সময় যারা হতদরিদ্র, তাদের জন্য বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে আসছি, সেই ব্যবস্থাও থাকবে। তাছাড়া টিসিবি কার্ড দেওয়া থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পণ্যমূল্য যেন কম থাকে, আবার কৃষকও যেন লোকসানে না পড়ে, সে বিষয়েও দৃষ্টি থাকবে। কৃষিপণ্যের দাম বেশি থাকলে কৃষক খুশি হয় আবার যারা ক্রেতা, তারা নাখোশ হয়। এখানে একটা ভারসাম্য যেন থাকে, সেদিকে দৃষ্টি থাকতে হবে।
সভামঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।