প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত হয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমার দ্বিপক্ষীয় সফর ভারত দিয়েই শুরু হবে।
সোমবার দুপুরে ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তবে মন্ত্রী বলেন, আমি বহুপাক্ষিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য উগান্ডায় যাচ্ছি ১৭ জানুয়ারি।
তিনি বলেন, আমাকে দিল্লি সফরের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সময়টি দেখছি- কখন আমার জন্য এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের জন্য ফিজিবল হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সবসময় পাশে ছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকেও বিতর্কিত করার এবং অনেক প্রশ্নের উত্থাপন করা হয়েছিল, ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল।
ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা নিয়ে আলোচনা করেছি সেটি হচ্ছে- সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল।
নতুন সরকার গঠনের পর ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে প্রথমে ভারতের রাষ্ট্রদূতই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আমরা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি, বর্ডার হাটগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিভাবে আরও বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা যায়, কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে কিভাবে পরিচিত করা যায়, এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এটি হলে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমবে, ভারতেরও কমবে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে সেটি সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাওয়া- এটি অনেক পুরোনো দিনের ইস্যু এবং আমরা এটি নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছি।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে কিছু কাজ হয়েছে, কিন্তু সেটিকে যাতে আমরা আরও সম্প্রসারিত করতে পারি। সেগুলোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।