প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়টি ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে’ দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের তলবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এসময় ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকার সংবিধান রেখেছে আইন রেখেছে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। অতএব বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি, আমার কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিও বা না থাকে তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।
কমিশন কী বলেছে, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশন বলল যে ‘আমরা দেখব বিষয়টা।’ এটা তাদের বিষয়।
আপনার কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না? প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক বলেন, না আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।
গত ৭ জানুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন তিনি, যা গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথের দিন ফরিদুল হককে তলব করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকাশ্যে ভোট দান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সে বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় নির্বাচন ভবনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয় পাওয়ার পর তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এবার পদোন্নতি পেয়ে তিনি মন্ত্রী হয়েছেন।