প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
ফরিদপুরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত বিরাজ করে এ অবস্থা। এছাড়া সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের খেটেখাওয়া মানুষ। ধানের জমি চাষ করা হলেও তীব্র শীতে চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। রোববার ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে চরাঞ্চলের খেটেখাওয়া মানুষ, মৎস্য শিকারি ও মাঠে চাষাবাদ করা মানুষের দিন কাটছে কষ্টে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। মধ্য জানুয়ারিতে জেঁকে বসেছে এমন শীত। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই জেলায় তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। গত চার দিন ধরে অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। একই সঙ্গে শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো পড়ছে। মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দিলেও অধিকাংশ সময়েই থাকছে মেঘের আড়ালে।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটেখাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার বিলমামুদপুর-কাফুরা এলাকার কৃষক নজির মল্লিক ও আফতাব শেখ জানান, শীতের তীব্রতায় মাঠে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার দাপটে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এছাড়া ধানের জমিতে চাষ করা হলেও ঠাণ্ডায় ধানের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এমন অবস্থা আরও দুদিন থাকতে পারে।