• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বাংলাদেশের নির্বাচন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৭:৪০ এএম

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বাংলাদেশের নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেষ হলো বাংলাদেশের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

বাংলাদেশের এ নির্বাচন নিয়ে এবার একই সুরে কথা বলছে বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো। বলছে, ‘বিরোধী দলের ভোট বর্জনের মধ্যেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট হয়েছে বাংলাদেশে।’ আলজাজিরা, ব্লুমবার্গ, ফ্রান্স২৪, দ্য উইক, আইরিশ এক্সামিনার, সিএনএন ও এএফপি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সরাসরি সংবাদ প্রকাশ করেছে। বলেছে, শেখ হাসিনা এক সময় দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দেশটিতে ভয়াবহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিলেও, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্মম বিরোধী দমনের অভিযোগ রয়েছে। তার দল যে আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে তেমন কোনো কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একতরফা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যমটি। শিরোনাম ছিল- ‘বিরোধী দল ছাড়াই নির্বাচনে বাংলাদেশ।’

প্যারিসের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ফ্রান্স২৪, ব্রিটিশ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র দ্য উইক, আইরিশ জাতীয় সংবাদপত্র আইরিশ এক্সামিনারে প্রকাশিত খবরের শিরোনামেও বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। ফান্সের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির শিরোনামেও বলা হয়েছে একই কথা- ‘বিরোধী দল ছাড়াই ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে।’ এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরেও বিরোধী দলের ভোট বর্জনের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। শিরোনাম ছিল- ‘বিরোধীদের বয়কটেই ভোট শুরু বাংলাদেশে।’

নিউইয়র্কের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘বিরোধীদের বর্জনের পরও শাসন বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৬) পঞ্চম মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় বসার গ্যারান্টির সঙ্গেই ভোটকার্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার বেলা ৩টার (বাংলাদেশ সময়) শিরোনাম ছিল- সংঘাতময় ও উদ্বেগজনক পরিবেশে নির্বাচন চলছে বাংলাদেশে। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক শিরোনামে লিখা হয়, ৪ ‘ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোটও পড়ল না, বাংলাদেশের নির্বাচনি হিংসায় নিহত ১।’ প্রতিবেদনে বলেছে, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোটও পড়েনি ব্যালট বাক্সে।

আনন্দবাজার বিকালের (বাংলাদেশ সময় ৪টা ৫৮) আরেক শিরোনামে বলে, ‘বাংলাদেশের ভোটের দিনই প্রতিবেশী ভারতের প্রশংসা হাসিনার গলায়, কী বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী?’ যার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের দিনেই প্রতিবেশী ভারতের প্রশংসা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, “আমরা ভীষণ ভাগ্যবান যে ভারত আমাদের ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছে।”

ভারতের সব মানুষকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। একই শিরোনাম ছিল দেশটির শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ারও। ভারতের আরেকটি গণমাধ্যম মিন্ট ‘বাংলাদেশের নির্বাচন : ভারতের জন্য শেখ হাসিনার পুনর্নির্বাচনের মানে কী?’ এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ‘বিরোধীদের অনুপস্থিতিতেই ভোট শুরু বাংলাদেশে।’

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের শিরোনাম ছিল, ‘শেখ হাসিনাকে পঞ্চম মেয়াদে জয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন শুরু।’ ওয়াশিংটন পোস্টের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘সহিংসতা এবং বিরোধীদের বয়কটের মধ্যেই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশে সহিংসতা এবং বিরোধীদের বয়কটের মধ্যেই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।’ বিবিসি বলেছে, ‘আগের রাতেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে আগুন।’ 

আর্কাইভ