• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

নৌকার সমর্থকরা প্রচুর জাল ভোট দিচ্ছে, আমি নিজ হাতে ধরেছি: ডলি সায়ন্তনী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

নৌকার সমর্থকরা প্রচুর জাল ভোট দিচ্ছে, আমি নিজ হাতে ধরেছি: ডলি সায়ন্তনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে নৌকার সমর্থকরা প্রচুর জাল ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণ্যমূল বিএনপির (বিএনএম) প্রার্থী সঙ্গীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।

রোববার (৭ জানুয়ারি ) ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন।

ডলি সায়ন্তনী বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছে। সুজানগরের মোহাম্মদদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে। জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছে। নোঙ্গর মার্কার এজেন্ট বের করে দিচ্ছে।

লাইভে ডলি সায়ন্তনী এমন ভোট বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে যে সকল কেন্দ্রে এভাবে ভোট নেওয়া হয়েছে সেই কেন্দ্রগুলো বন্ধের দাবি করেন।

ফেজবুক লাইভের পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে ডলি সায়ন্তনী বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্রেই নৌকার পক্ষে জোরপূর্বক ভোট নেওয়া হচ্ছে। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রে সকাল ১০ টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে। এভাবে চললে এটাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায় না। আমরা এমন ভোট বন্ধ চাই। সব জায়গায় নৌকার লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে।  সব জায়গায় আমি গিয়ে নিজে হাতে ধরেছি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, আন্দাজে এমন অভিযোগ দিলে চলবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রেই জোরপূর্বক ভোট নেওয়া হচ্ছে না। আর জোরপূর্বক ভোটের অভিযোগ করলে সেটা আমার দিকে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি (ডলি সায়ন্তনী) একটি কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। কোনো প্রকার অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

আর্কাইভ