• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রোজায় পণ্য আমদানিতে যেভাবে হবে ডলারের ব্যবস্থা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

রোজায় পণ্য আমদানিতে যেভাবে হবে ডলারের ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে রোজানির্ভর ছয়টি পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার মার্জিন শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রয়োজনে শূন্য মার্জিনে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে রোজায় বহুল ব্যবহৃত ছোলা, ডাল, খেজুর, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজ। রোজার আগে ও রোজার মধ্যে এসব পণ্য আমদানি করতে আরোপিত এলসি মার্জিন শিথিল করা হবে।

একই সঙ্গে এসব পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে ঋণের জোগানও দেওয়া হবে। এলসি খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ডলারের জোগান দেওয়া হবে। ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় ডলার না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জোগান দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অচিরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, মার্চের মাঝামাঝি থেকে রোজা শুরু হবে। রোজায় ছোলা, ডাল, খেজুর, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে এসব পণ্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে এসব পণ্যের দাম না বাড়ে। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে অনেক পণ্য আমদানির এলসি খোলা যাচ্ছে না। এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যও রয়েছে।

ডলার সংকটের কারণে এসব পণ্যের এলসি খুলতে না পারায় এগুলোর আমদানি কমে গেছে। একই সঙ্গে এলসি খোলার হারও কমেছে। এ কারণে এসব পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বর্তমানে আবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে কোনো এলসি মার্জিন আরোপিত নেই। এর মধ্যে রোজানির্ভর ছয় পণ্যও রয়েছে। তবে ডলার সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি ও অনেক পণ্য রপ্তানি বন্ধ করায় এগুলোর এলসি কমেছে। ভারত সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রপ্তানি শুরু করার বিষয়ে ভাবছে দেশটি। পেঁয়াজের সিংহভাগ আমদানিই হয় ভারত থেকে। অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে ডলারের জোগান বাড়ানো হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জোগান দেওয়া হবে।
 

আর্কাইভ