প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১, ০৮:৪২ পিএম
করোনা সংক্রমণ বিস্তার-রোধে চলমান লড়াইয়ে
সবার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন ডাক
ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি
বলেন, করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতির অগ্রগতিতে চিকিৎসক, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক- সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে সংক্রমিত
হওয়ার আগে প্রতিরোধের ভিত্তি
তৈরি হবে। এ ছাড়াও
সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহারসহ
স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।
মঙ্গলবার
(৬ জুলাই) রাতে নেত্রকোনা জেলা
করোনা প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন
তিনি।
তিনি
বলেন, করোনাভাইরাসের ধরন প্রতিনিয়তই পরিবর্তন
হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোতে
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। এক
সময় সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল করোনা শহরের
মানুষের রোগ। কিন্তু এখন
পরিস্থিতি উল্টো। করোনাভাইরাস গ্রামে দারুণ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাড়িয়েছে স্থানীয়ভাবে
স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি
পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
নেত্রকোনা
সদরে করোনা রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ
চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করার ওপর
গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন,
অক্সিজেন, সিসিইউ, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরসহ করোনা
চিকিৎসার যেসব উপকরণের ঘাটতি
আছে তা যথাসময়ে ব্যবস্থা
করতে না পারলে বিপর্যয়
থেকে এই জনপদকে রক্ষা
করা কঠিন হবে।
তিনি
আরও বলেন, সংকট মোকাবিলায় আমাদের
প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান
থেকে কাজ করতে হবে।
ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তার রোধে সীমান্ত উপজেলাগুলোতে
সংশ্লিষ্টদের বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
এছাড়াও
চলতি লকডাউন সফল করতে প্রশাসনকে
মানবিকতা ও কঠোরতার সমন্বয়ে
কাজ করার পরামর্শ দেন
তিনি।
নেত্রকোনা
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর
রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভাতে সমাজকল্যাণ
প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু,
সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল,
হাবিবা রহমান খান শেফালী, নেত্রকোনা
সদর পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম
খান, স্থানীয় সিভিল সার্জন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, পুলিশ সুপার, বিজিবির সিও, বিভিন্ন উপজেলার
চেয়ারম্যন ও ইউএনও অংশগ্রহণ
করেন।
ইফাত/নির্জন
