প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৭:২৭ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থাপন ও ঘোষণা করবেন।
এ ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সংবলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত ইশতেহার।
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের আয় বৃদ্ধি করা। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান করাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এবারের ইশতেহারের মূল থিম- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায় সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা হবে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।