• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অনিয়ম ঘটলেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে: সিইসি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম

অনিয়ম ঘটলেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে কারচুপি বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন কিছু অভিযোগ থাকলেও প্রচারণা ও ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ভোট এক জায়গায় দিলে আরেক জায়গায় চলে যাবে- এটার কোনো সুযোগ নেই, এগুলো ভ্রান্ত প্রচারণা। ভোটের দিন একটি মাত্র কেন্দ্রে কারচুপি হলেও ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে।

রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় সিইসি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আগের ১৫ দিন কী হলো না হলো সেটা কিছুদিন পর মানুষ ভুলে যাবে; কিন্তু ভোটের দিন রেজাল্ট কী হলো, পোলিংয়ের মধ্যে কারচুপি হলো কিনা, জবরদস্তি সিল মারা হলো কিনা- এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পাঁচটা বাহিনীর লোক থাকলে সবাইকে হাত করা যায় না। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ ১৫-১৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রের বাহিরের ভারসাম্য রক্ষা করবে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং অফিসারকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। তখন প্রিসাইডিং অফিসারকে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। ওই কেন্দ্রের ভোট প্রয়োজনে ১০বার নিতে হবে।

তিনি বলেন, ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যে কেন্দ্রেই যাক না কেন, খেলাটা হবে কিন্তু প্রার্থীদের মাঝে ভোটের দিন। কেন্দ্রের ভিতরে কিন্তু আইজি, ডিআইজি ঢুকতে পারবেন না। শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যদি কেন্দ্রে তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারেন- তাহলে ওসি, ইউএনও, এসপি ডিআইজি, কিছুই করতে পারবেন না। আর যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ৬ জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
এর আগে তিনি নগরীর ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সব সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আর্কাইভ