প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ০১:৪৮ এএম
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং অস্তিত্বের সম্পর্ক নির্ভর করে। এই নির্বাচনে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি রয়েছে। কাজেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে। প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল ও ভোট বন্ধ করে ওই স্থানে উপনির্বাচন দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি এবং সত্যতা পেয়েছি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করবে। এতে কে ফেঁসে যাবেন, তা আমরা দেখব না।
তিনি বলেন, পুলিশ তো সরকার পক্ষের লোক। যিনি অভিযোগকারী তাকেই প্রথমে থানায় অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগ না দিলে বিষয়টি দুর্বল হয়ে যায়। এই বিষয়টিও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেখতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, অপকর্ম করলেই প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাবে না। ভোটের দিন সকালে যাবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে। এজন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। পাশাপাশি র্যাব-বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করা হবে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ কলংকমুক্ত হবে। তাই নির্বাচনে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ইসি।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ মিয়া, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদসহ জেলার ৪টি আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সভায়।
এর আগে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন। নির্বাচনী প্রচারকালে বাধা-হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। সভায় জেলার ৪টি আসনের প্রার্থীদের অনেকেই তাদের বক্তব্যে এসব অভিযোগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জেকেএস/