• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:৪৭ এএম

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন আজ (১০ ডিসেম্বর)। একাধারে আইনজীবী, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বিচারক ছিলেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনারও ছিলেন সাহাবুদ্দিন।

দিনটিকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পাবনার বিভিন্ন সংগঠন। আর্দশ, একাগ্রতা, সততা, নিষ্ঠা, শ্রম, বলিষ্ঠতা, মেধা ও শৃঙ্খলা একজন মানুষকে যে কত উপরে নিয়ে যেতে পারে তার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা মরহুম শরফুদ্দীন আনসারী এবং মা মোসাম্মৎ খায়রুন্নেছা। তিনি পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধি বালক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন।

১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর পাবনার ঐতিহ্যবাহী সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২সালে) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। ছাত্রাবস্থায় ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীন বাংলা ছাত্রপরিষদের পাবনা জেলার নেতা হিসেবে পাবনায় স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারীদের অন্যতম মো. সাহাবুদ্দিন। পাবনা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৭১ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭০ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন সাহাবুদ্দিন।

১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন মো. সাহাবুদ্দিন। ১৯৯৫ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন।

পেশাগত জীবনে প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন সাহাবুদ্দিন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ