• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে ভোটকেন্দ্রের তালিকা চাইল ইসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম

মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে ভোটকেন্দ্রের তালিকা চাইল ইসি

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিনে যাচাই করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ভোটকেন্দ্রের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রের তালিকা দিতে ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠি জারি করা হয়েছে। এরইমধ্যে ইসির চিঠি সব জেলার রিটার্নিং অফিসার বরাবর পাঠানো হয়েছে।

ইসি চিঠিতে যেসব বিষয় লিখেছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দাবি আপত্তি -নিষ্পত্তি করে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসাররা ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করবেন।

চিঠিতে বলা হয়, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণে কোনো পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা সম্পন্ন করে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করবেন। সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংযুক্ত ছক অনুযায়ী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২ প্রস্থ হার্ড কপি (নিকস ফ্রন্ট-এ ওয়ার্ড ফাইল সিডিসহ) বাহক মারফত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এছাড়া, প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা পাঠানোর সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক নিম্নলিখিত বিষয়াদি ভালভাবে যাচাই করে নিশ্চিত করতে হবে।

চিঠির মূল কথা-  

* নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর ঠিক আছে কি না?
* উপজেলা/থানার নাম সঠিক আছে কি না?
* ভোটকেন্দ্রের নম্বর, সিরিয়াল নং ঠিক আছে কি না?
* ভোটারের সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না? যোগফল ঠিক আছে কি না?
* পুরুষ কক্ষের জন্য ৫০০ এবং নারী কক্ষের জন্য ৪০০ জন হিসাবে ভোট কক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে কি না?
* অস্থায়ী কেন্দ্র ও অস্থায়ী কক্ষের বিষয়ে ব্যাখ্যা আছে কি না ও অস্থায়ী কক্ষের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঘরে অস্থায়ী লিখিত আছে কি না?
* ভোটারের সংখ্যার সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা নীতিমালা অনুযায়ী আছে কি না?

ইসি জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত যেসব ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব ভোটকেন্দ্র নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে তার আসনভিত্তিক সারসংক্ষেপ পাঠাতে করতে হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের প্রস্তাব করা হয়েছে; মর্মে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যয়নসহ পাঠানোর জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এদিকে গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার  নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ