প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
আওয়ামী লীগ একা ক্ষমতায় যেতে চায় না। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করেই ক্ষমতায় যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এটিকে স্বাধীন করেছেন শেখ হাসিনা। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তিনি নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন। গতকাল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়েছি।
‘আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চাই। নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেই নিয়ম মাফিক নির্বাচনের তারিখ দেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন কাদের।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে সব রকম সহযোগিতা করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছি। গণতন্ত্রকে অনুসরণ করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা লড়াই-সংগ্রাম করেছি।
শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন শুরু করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ২১ বছর আমরা গণতন্ত্রের দেখা পাইনি। আমাদের বার বার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়েছে। এরপরও আমরা লড়াই করে করে টিকে আছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করেছেন। শেখ হাসিনা আপোষহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ শহরে (ঢাকা) অনেকগুলো সমাবেশ হয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের কারণে তারা বাধাগ্রস্ত হয়নি। উলটো বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে পেটাতে পেটাতে তারা মেরে ফেলেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে। তারা কখনোই এভাবে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না৷ জনগণের ক্ষতি করে কখনো ক্ষমতায় আসা যায় না।’
২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলন শেষ, তাদের বারোটা বেজে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের খুঁটিনাটি, রণকৌশল জানতে হয়। কিভাবে আন্দোলন করতে হয়, সভা-সমাবেশ করতে হয় বিএনপি জানে না। ২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। সেদিনই তাদের আন্দোলন শেষ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/