প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সকালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি জানান, বিকেল ৫টায় বর্তমান কমিশনের ২৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় তফসিল ফাইনাল করা হবে। সন্ধ্যায় জানা যাবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন কবে।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ আছে বলেই তফসিল দেয়া হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে আলোচিত প্রশ্ন তফসিল কবে। সংবিধান মতে পহেলা নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাউন্টডাউন। ডেড লাইন ২৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ এই মাসের শুরু থেকে যেকোনো সময় তফসিল দিতে পারবে কমিশন। চলতি সংসদের পাঁচ বছর পূর্ণের আগের ৯০ দিন অর্থাৎ ভোট হতে হবে ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই।
ভোটের প্রস্তুতিতে আগেই রোডম্যাপ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুসারে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ, সীমানা পুনঃনির্ধারন, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, ব্যালট বাদে ভোটের বাকি সরঞ্জাম জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয়াসহ সব কাজ সেরেছে নির্ধারিত সময়ে।
রেওয়াজ অনুযায়ী ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে ভোটের সব শেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছে কমিশন। এখন কেবল বাকি তফসিল ঘোষণার।
৭০ (১৯৭০ সাল) পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনের তফসিল হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশবাসীকে অবহিত করেছেন। সেই রেওয়াজের ব্যতিক্রম এবারও হচ্ছে না।
এদিকে বিকেলে বৈঠক, জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ ও তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে একাদশ সংসদের মেয়াদ। সংবিধান অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আর এজন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দেয়ার কথা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের তফসিল কী
একটি নির্বাচন আয়োজনে যেসব কার্যক্রম রয়েছে তার সবকিছুর সময় বেঁধে দেয়া হয় তফসিলে। এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নের কাগজ কখন জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন, সেটি ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন, তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন। যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে, আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে - সেটির উল্লেখ থাকে।
সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার সঙ্গে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, আর কোন সময় পর্যন্ত চলবে, তার বিস্তারিত এবং ভোটের পর ভোট গণনা কীভাবে এবং কোথায় হবে, তাও পরিষ্কার উল্লেখ করা থাকে এতে। এক কথায় নির্বাচনের পুরো এ বিষয়টির সমষ্টিই নির্বাচনের তফসিল।
আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী আট দিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। এরপর বাছাইয়ের জন্য একদিন বরাদ্দ থাকে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য বরাদ্দ থাকে দুদিন। এরপর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সাধারণত দুই সপ্তাহ সময়সীমা দেয়া হয়ে থাকে। তবে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হয়।
নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ কি বদলানো যায়?
নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ওই ৯০ দিনের মধ্যে দেয়া নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে। প্রয়োজনে সেটি করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। সেক্ষেত্রে তফসিল সংশোধন করে এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য তারিখও পরিবর্তন করা যায়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/