প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান শেষে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কক্সবাজার রেল লাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে কক্সবাজারের আইকনিক রেল স্টেশনের সুধী সমাবেশে রয়েছেন তিনি। উদ্বোধন কার্যক্রম শেষ করে দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মহেশখালীর মাতারবাড়িতে যাবেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়িতে পৌঁছে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফর সূচি অনুযায়ী, বেলা ৩টার দিকে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যেই জনসভাস্থলে জনস্রোত নেমেছে। মিছিলে মিছিলে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। সভাস্থল পূর্ণ হয়ে উঠেছে মানুষে-মানুষে।
এদিকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর মাতারবাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত আকারে জনসভা আহ্বান করেছিল। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা ধারণা করেছিলেন, জনসভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে। কিন্তু সেদিন জনসভাস্থল মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। বাড়ি-ঘরের দরজা তালাবদ্ধ রেখে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। অভূতপূর্ব জনসমাবেশের দৃশ্য দেখে সেই দিন আবেগে আপ্লুত হয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী।
মাতারবাড়ীকে ‘মায়ের বাড়ি’ আখ্যা দিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন এটি ‘দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া’। সেই থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক সচেতন মহলের কাছে মাতারবাড়ী দেশের দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া হিসেবে পরিচিত। শনিবার (১০ নভেম্বর) দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এবারের সফরে রেললাইন, আইকনিক রেলস্টেশন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে মহেশখালীসহ পুরো জেলা জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে মাতারবাড়ীসহ পুরো মহেশখালী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে দলের তৃণমূল পর্যায়ে বর্ধিত সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলছে স্বাগত মিছিল, মাইকিং ও প্রচারণা। তারা আশা করছেন, সমাবেশে ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে।