প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০১:১৪ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এর অংশ হিসেবে আপাতত এলাকাভিত্তিক ও আয়ভিত্তিক বিদ্যুৎ ও পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, যাদের আয় বেশি তারা যে ভর্তুকি সুবিধা পায় গরিব মানুষও একই সুবিধা ভোগ করছেন। এটা ঠিক নয়। কেননা যারা গরিব মানুষ তাদের জন্য ভর্তুকি মূল্য অব্যাহত থাকবে; কিন্তু যাদের আয় বেশি তাদের বেশি দামে বিল দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ মান্নান আরও বলেন, পানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দাম নির্ধারণে যাতে ন্যয়বিচার নিশ্চিত হয় সেটিও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা শহরে সুউচ্চ ভবন নির্মাণে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এক্ষেত্রে বলেছেন, বিমান চলাচলে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া মহাসড়ক সংস্কারে টোল নিয়ে একটি তহবিল গঠনের কথা ফের বলেছেন তিনি। গত একনেক বৈঠকে একই নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
রাস্তার ধারে জলাধার নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন যেকোনো প্রকল্পে জলাধার থাকতে হবে। সার্বজনীন পেনশন নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সম্প্রতি বিদেশ সফরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলেও একনেকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।