প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১, ০৫:১৩ পিএম
করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। সংক্রমণ
রোধে সরকার নিয়েছে নানাবিধ ব্যবস্থা। সংক্রমিত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে
আসা মানুষদের থাকতে হয় কোয়ারেন্টিনে। বিদেশফেরত
ব্যক্তিদের বেলায়ও একই নিয়ম। দেশে
ফেরার পর বাধ্যবাধকতা ১৪
দিনের কোয়ারেন্টিন। কিন্তু এবার গরুকেও রাখা
হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা ১৮টি
গরুকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সাভার ডেইরি ফার্মে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
ব্রাহামা
জাতের গরুগুলোকে প্রাণী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে
সিটি নিউজকে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর
রহমান।
তিনি
জানান, বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি
না থাকায় এবং গরুর আমদানিকারককে
না পাওয়ায় এগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা
হয়েছে। এগুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি
বিমানের ধকল কাটানোর জন্য
দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।
তিনি
আরও বলেন, ‘২১ দিন কোয়ারেন্টিনে
রাখার পর গরুগুলোকে ডেইরি
ফার্ম ও গবেষণার কাজে
ব্যবহার করা হবে। এ
ছাড়াও ১৩ মাস থেকে
৬০ মাস বয়সী গরুগুলোকে
ব্যবহার করা হবে জাত
উন্নয়নে।
সোমবার
(৫ জুলাই) বিমানবন্দরে নামার পর গরুগুলোকে জব্দ
করে ঢাকা কাস্টমস হাউস।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আনা
হয় গরুগুলোকে।
বিমানবন্দর
সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরের
সাদেক অ্যাগ্রো ফার্মের নামে আমদানি করা
হয় ব্রাহামা জাতের গরুগুলো। কিন্তু বাংলাদেশে এ জাতের গরু
আমদানির অনুমতি নেই। এ ছাড়াও
গরু আসার পরে আমদানিকারককে
পাওয়া যায়নি। তাই এগুলোকে জব্দ
করা হয়।
ঢাকা
কাস্টমস হাউস হেফাজতে গরু
রাখার ব্যবস্থা না থাকায় ১২-১৫ লাখ টাকারও
বেশি মূল্যের গরুগুলোকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জিম্মায় রাখা হয়।
তবে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গরুগুলোর কোনো দাবিদার না
পাওয়া গেলে সেগুলোকে নিলামে
বিক্রি করা হবে বলেও
জানায় ঢাকা কাস্টমস।
তরিকুল/ইফাত/এম. জামান