প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৩:৪২ এএম
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারলেও রানার্স আপদের বিপক্ষে লড়তেই পারলো না আফগানিস্তান। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানো আফগানিস্তান আজ নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেটে করা ২৮৮ রানের জবাবে আফগানিস্তান ৩৪.৪ ওভারে ১৩৯ রানে সব উইকেট হারায়। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে জয় পেলো নিউজিল্যান্ড। চার ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ব্যাট হাতে লড়তেই পারেনি আফগানিস্তান। এতটা নাজুক ব্যাটিং তারা করেছে যে, শেষ চার উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ৮ বলে। এ সময়ে রান হয়েছে মাত্র ৫। আফগানদের কোনো ব্যাটারই এ দিন ব্যাট হাতে লড়াতে পারেননি। তাদের ছয় ব্যাটার ব্যক্তিগত রানকে দুই অঙ্কেই নিতে পারেনি। আর যারা পেরেছে সেই দুই অঙ্ককে সমৃদ্ধ করতে পারেনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিশাল ব্যবধানে হার তাদের গলার মালা হয়েছে।
আফগানিস্তানের রহমত শাহ ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৬ রান করেছেন তিনি। এছাড়া আব্দুল্লাহ ওমরজাইয়ের সংগ্রহ ছিল ২৭ রান।
নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার ও লকি ফার্গুসন ছিলেন সফল বোলার। উভয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ট্রেন্ট বুল্ট পেয়েছেন দুই উইকেট।
এর আগে আফগানিস্তানের আমন্ত্রণে ব্যাট হাতে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৩০ রানে ডেভন কনওয়ের উইকেট হারালেও তারা সাবলীল গতিতে সমৃদ্ধ স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। উইল ইয়ং ও রাচিন রাভিন্দ্র দলের এই রান সংগ্রহে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রান করেন তারা।
নিউজিল্যান্ডের এই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটান আমাতুল্লাহ ওমরজাই। একই ওভারে তিনি সেট হওয়া দুই ব্যাটার উইল ইয়ং ও রাচিন রাভিন্দ্রকে তুলে নেন। শুধু তাই নয়, মাত্র ১ রানে নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। উইল ইয়ং ও রাচিন রাভিন্দ্রের পাশাপাশি নতুন ব্যাটার ড্যারিল মিচেলও আউট হয়ে যান।
উইল ইয়ং ৬৪ বলে ৫৪ রান করেন। আর রাভিন্দ্র ৪১ বল খেলে স্কোরবোর্ডে ৩২ রান জমা করেন। ইয়ং অনেকটা মারকুটে ব্যাটিং করেছেন। চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।
গ্লেন ফিলিপসের সামনে সুযোগ ছিল ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা। তার আগের সেরা ইনিংস ৭২। আজ ৭১ রানে আউট হয়েছেন। ৮০ বলে খেলেছেন তিনি এই ইনিংস। চারটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে সমৃদ্ধ ছিল ফিলিপসের ইনিংস। অধিনায়ক টম লাথামের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তিনি ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে এটাই সবচেয়ে বড় জুটি।
অধিনায়ক টম লাথাম খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। ৭৪ বলে এই ইনিংসটি খেলেন তিনি। তিনটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। আগের সফল জুটির মতো লাথাম ও ফিলিপস পরপর আউট হয়ে যান। ফলে রানের চাকা বন্ধ হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু মার্ক চ্যাপমান তা হতে দেননি। বরং ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন তিনি। ছোট্ট কিন্তু দারুণ কার্যকর ইনিংস খেলেন। ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি। দুই বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজান তিনি এই কার্যকর ইনিংসটি।
আফগানিস্তানের কোনো বোলার সেভাবে আধিপত্য করতে পারেনি। নাভিন উল হক ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান পেয়েছেন একটা করে উইকেট।