প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০২:৫৪ এএম
চাঁদপুরের বালুখেকো সেলিম খানকে একজন নারী মন্ত্রী আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, এমন বক্তব্য দিয়ে আলোচিত ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীকে নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগ বাতিল হওয়ায় তার অবশিষ্ট মেয়াদ (প্রায় ১ বছর ৫ মাস) জনস্বার্থে বাতিল করা হয়েছে বলে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
জানা গেছে, চাঁদপুরের সেলিম খানের বিষয় ছাড়াও ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দূরত্ব চলে আসছিল। তিনি চাঁদপুরে বালু উত্তোলন ছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জমিতে শিপইয়ার্ড নির্মাণসহ কয়েকটি বিষয়ে সোজাসাপ্টা বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে একজন মন্ত্রী, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নদী দখল, অবৈধ বালু উত্তোলন ও গতিপ্রবাহ নষ্টের অভিযোগ আসে। এমনকি নদীর পক্ষে কাজ করায় নদী রক্ষা কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তার চাকরি চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তার এসব অভিযোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর নানান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। সবশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষ্যে তিনি এক সেমিনারে চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী দখলের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এরপরই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন